
কাজী সেলিম মাবুদ
কাজী সেলিম মাবুদ একজন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি তার সৃজনশীলতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রেখেছেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে, একটি নির্মল ও প্রকৃতিসমৃদ্ধ পরিবেশে, যা তার সৃজনশীল মননের প্রাথমিক উৎস হিসেবে কাজ করেছে।
ছোটবেলা থেকেই কাজী সেলিম মাবুদ সাংবাদিকতাকে তাঁর প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি তাঁর সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোকপাত করেছেন। তবে তাঁর প্রতিভা কেবল সাংবাদিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কবিতা, গল্প, গান, নাটক—সবকিছুতেই তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্টি মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং সমাজের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
কাজী সেলিম মাবুদের কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “পাহাড়ী হাতছানি” এবং “ছায়াপথ”। এই কাব্যগ্রন্থগুলো তাঁর গভীর চিন্তাশীলতা, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং মানবিকতার প্রতিফলন ঘটায়। তাঁর লেখা গানগুলোও সমান জনপ্রিয়। বিশেষ করে, তাঁর রচিত গান “এসেছি একা যাব একা” শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর আবেগের সঞ্চার করেছে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই গানটি জীবনের একাকিত্ব ও অস্তিত্বের দার্শনিকতাকে স্পর্শ করে, যা শ্রোতাদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছে।
সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের পাশাপাশি কাজী সেলিম মাবুদ সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি নাটক, গান এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সৃজনশীলতা এবং নিষ্ঠা তাঁকে একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজী সেলিম মাবুদ কাজী সেলিম মাবুদ বর্তমানে একজন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার অটুট রয়েছে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
যোগাযোগের তথ্য
ই-মেইল: selim@pangshasangbad24.com
ঠিকানা: নারায়নপুর, পাংশা, রাজবাড়ী।
কাজী সেলিম মাবুদ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর লেখনী, সাংবাদিকতা এবং সাংস্কৃতিক অবদানের মাধ্যমে সমাজে একটি অমর কীর্তি রেখে চলেছেন। তাঁর সৃষ্টি ও কর্ম বাংলা সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

