কাজী সেলিম মাবুদঃ রাজবাড়ীর পাংশা কৃষকের খাবারের টাকার ভাগ বসালেন কর্মকর্তা, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী করেছেন কাজ বললেন মুঠো ফোনে। ১৮ জুন মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন পাংশা উপজেলার কৃষকদেও খাবারের পাঁচশত টাকা বরাদ্দ থাকলেও অভিযোগ উঠেছে তিনি ২পিচ খাসির মাংস, বিরায়ানী, ১টি ডিম ও ১টি পানি সরবরাহ করেন ৭০ জন কৃষকদের মধ্যে। জানা যায় পাংশা উপজেলায় অনুমানিক ৫ হাজার কৃষক থাকলেও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা গত ২৬ মে সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করেন। প্রকৃত কৃষকগণ পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ জনের ঠাই হয় এর মধ্যে রয়েছেন ভ্যান চালক, মুদি ব্যবসায়ী, গৃহিনী, প্রবাসী প্রমুখ।
পার্টানার কংগ্রেস অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন জানান, তিনি একজন সার ও কীটনাশ ব্যবসায়ী। সাহিদা খাতুন জানান, তিনি একজন গৃহিনী, শামীমা নাসরিন জানান, তিনি দুইটি এনজিও পরিচালক, রাসেল জানান, তিনি কুয়েত প্রবাসী, মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন তিনি মুদি দোকানী ও টেলিকম ব্যবসায়ী, স্বপন কুমার সাহ জানান তিনি একজন ভ্যান চালক, হাসিবুর রহমান জানান তিনি পাংশা সরকারি কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা আরও জানায় খাবারের জন্য ৫০০ টাকা বরাদ্দের কথা তাদের বলা হয়নি। যে খাবার দিয়েছে পাংশা বাজার মূল্যে সর্বচ্চ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম হবে বলে একাধিক হোটেল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে এ ধরণের কংগ্রসে প্রশক্ষিণে ফসলের কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, কৃষি উদ্দ্যেক্তা তৈরি, কৃষি পণ্যের টকেসই ভ্যালুচেইন সৃষ্টি, অধিক ফলন উৎপাদন, প্রযুক্তি ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলজ ও সবজি খামার গড়ে তোলার উপর গুরুত্বরোপ করা হয়।
সূত্র মতে গত ২৬ মে সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টার) প্রোগ্রামের আওতায় পার্টানার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে উক্ত পার্টার কংগ্রসে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন কৃষকের খাবারের টাকা নয় ছয়ের বিষয়ে তার মুঠো ফোনে ভিত্তিহীন বলে জানান। কৃষি কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি থেকে গত ৫ জানুয়ারী পাংশা উপজেলায় যোগদান করেন।

