রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী পাংশার মৌরাট ইউপির কাজিয়ালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজে শুভংকরের ফাঁকি। প্রাচীর নির্মান, দেওয়াল, মেঝে সংস্কার, রং করণে ২,২০,০০০/- টাকা এল জি এস পি ৩ প্রকল্পে কাজিয়ালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি বরাদ্দ পায়। ঠিকাদার মেসার্স আলী মিয়া হার্ডওয়ার কাজ করেন তার ইচ্ছা মত। ছাদে খসে পরা কিছু জায়গা সিমেন্ট বালু দেয়ালে রং যেনো তেনো ভাবে কাজ শেষ করেন তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরিরত তাছলিমা খাতুন ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান কাজ শেষের ৫/৬ মাস পর থেকে ছাদের রং ও প্রাচীর খসে পরতে শুরু করে। বৃষ্টি এলে ঘরের ভেতরে পানি পরায় ভিজে যায় ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস। বৃষ্টির পানি পরে অফিস কক্ষের ফ্যানটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে অচল অবস্থায় আছে। ২৭ মে মৌরাট ইউপির কাজিয়ালপাড়া কমিউিনিটি ক্লিনিকের ভবনের দেওয়ালের রং চটা খসে পরা কঙ্কালসার হয়ে ক্লিনিকটি দাঁড়িয়ে আছে। ক্যামেরা দেখে একে একে এলাকার একাধিক এলাকাবাসি জানালেন ক্লিনিকটি ১৮-১৯ অর্থ বছরে মেরামতের কাজ এলে ঠিকাদার কাজ শেষ করে যাবার ৫/৬ মাস পরে দেওয়ালের রং চটা খশে পরা শুরু করে। এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে জানায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুধু রং আর ঘরের ভেতরে ঘরের ছাদ, দেওয়াল খশে পরা জায়গায় সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে। সেখানে রং ও সিমেন্ট দিয়ে করে কাজ শেষ করে। অথচ প্রাচীরের দেয়ালে সাদা টাইলসে ছাপা করে লেখা আছে কাজের ধরণ প্রাচীন নির্মান, দেয়াল, মেঝে সংস্কার ও রং করতে হবে। ভবনটির আগের পুরনো মেঝে রিপোর্ট লেখাকালীন রয়েছে রংয়ের কাজ ও শুভংকরের ফাঁকি। এলজিএসপি ৩ প্রকল্পে ঠিকাদার মেসার্স আলী মিয়া হার্ডওয়ার আ.লীগের মৌরাট ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ছত্র ছায়ায় ও কমিটির ওয়ার্ড সভাপতি মোছাঃ বিনা বেগম তাদের দলের দাঁত ফোকলা নীতি আর লুটেপুটে খাওয়ার নমুনা রেখে গেলেন কাজিয়ালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক তার প্রমাণ। এলাকায় একাধিক সূত্র জানায় ক্লিনিকের সিঁড়ি অনেক উচু হওয়ায় বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী ওখানে উঠতে পারে না।

