পাংশা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের গড়াই নদীর লক্ষীপুর ঘাট এলাকার সরকারি খাস জমি থেকে প্রায় অর্ধশত গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা’র সদস্যরা। সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে গাঁজার গাছগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধারকৃত গাঁজার গাছগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৬ থেকে ৮ ফুট। গাছগুলো বর্তমানে ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন একটি ঈদগাহ মাঠে সংরক্ষিত রয়েছে। সেখানে মোট ৪৩টি গাঁজার গাছ রয়েছে।
প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সবুজ বলেন, “গতকাল সংবাদ পাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে আজ সকালে নদীর চর এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।”
আরেক স্বেচ্ছাসেবী সদস্য জানান, “গড়াই নদীর লক্ষীপুর ঘাট এলাকায় গাছগুলো লাগানো হয়েছিল কিনা, নাকি স্বাভাবিকভাবে জন্মেছে — সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
সংস্থার আরেক সদস্য মিলন বলেন, “আমরা নিয়মিত মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করি। এর আগেও একজন মাদক কারবারিকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এবার প্রায় অর্ধশত গাঁজার গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। গাছগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে তাকে বিভিন্ন মহল থেকে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তার নামে মামলা দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, “প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা এর আগেও এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তারা এলাকায় ভালো কাজ করছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “সরকারি খাস জমিতে গাঁজার গাছগুলো কারা রোপণ করেছিল, সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে গাছগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।”

