কাজী সেলিম মাবুদঃ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বেহাল দশা মুখ থুবড়ে পরেছে পশু চিকিৎসা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুর আনুমানিক ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্তিম প্রজনন) মোঃ নায়েব আলী পশু চিকিৎসা দিচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পৃথ্বীজ কুমার দাস তিনি জরুরী মিটিংয়ে অফিসের বাহিরে রয়েছেন। এ ব্যাপারে ডাঃ পৃথ্বীজ কুমার দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হয় এ প্রতিনিধির, তিনি পাংশা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে দিনের বেলায় সিকিউরিটি লাইট জলতে দেখা যায় ও হাসপাতাল আঙ্গিনায় নানা ঝোপঝাড়ে ঘিরে থাকা এবং হাসপাতালে গরু মহিষ বাঁধার লোহার খোয়াড় ঝোপঝাড়ের মধ্যে এবং ভাঙ্গাচুরা পরিত্যাক্ত থাকার বিষয়ে কর্মকর্তা জানান আমাদের লোকবল কম থাকায় পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আগত গরু ছাগল ও অন্যান্য পশু চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে। অসুস্থ ছাগল নিয়ে আসা অহেদ আলী প্রামানিকের সাথে পশু হাসপাতালে কথা হলে তিনি বলেন ডাক্তার ঔষধ লিখে দিয়েছেন ছাগল বাঁচলে বাঁচবে না বাঁচলে কিছু করার নাই এ কথা বলেন মোঃ নায়েব আলী বলে জানান। ঔষধের প্রেসক্রিপশন হাতে এক জন ৭০ ছুঁই ছুঁই বয়সী অহেদ আলী বৈশাখের আগুনীয় রোদে অসহায়েত্তের কথা ছলছল নয়নে জানালেন। অহেদ আলী মাছপাড়া ইউপির কালু প্রমানিকের ছেলে। পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পশু চিকিৎসা মুখ থুবরে পরায় উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন পাংশার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

