শীতের আগাম সবজির প্রাচুর্য থাকলেও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামেনি। রাজধানীর পাইকারি বাজারে ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, গাজর, টমেটো, মটরশুঁটি ও লাউয়ের সরবরাহ বাড়লেও দাম পূর্বের মতোই উচ্চমাত্রায় স্থিতিশীল। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগি, আলু ও পেঁয়াজের দামে কিছুটা স্বস্তি এনেছে সপ্তাহান্তের বাজার। তবে চালের দামে ঊর্ধ্বগতি এবং চিনির মূল্য কেজিতে ১৫০ টাকা ছুঁয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভোক্তাদের মধ্যে।
সবজি বাজার:
কামরাঙ্গীরচর ও কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, শীতের শুরুতে ফসলের ভালো ফলন হলেও পরিবহন খরচ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে খুচরা দাম কমছে না। ফুলকপি কেজি ৬০-৭০ টাকা, বাধাকপি ৫০-৫৫ টাকা এবং গাজর ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, “লাভের মুখ দেখছি না। উৎপাদন খরচ বাড়ায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।”
পোলট্রি ও নিত্যপণ্য:
ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহে ১০-১৫ টাকা কমে কেজি ১৪০-১৪৫ টাকায় নেমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দামেও সামান্য কমতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলু কেজি ৩০-৩৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে—নিম্নমানের চাল কেজি ৫৫-৬০ টাকা এবং মিডিয়াম কোয়ালিটি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চিনির উর্ধ্বগতি:
চিনির দাম গত এক সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বেড়ে ১৪৫-১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। আমদানি সংকট এবং গুদামে মজুতকরণকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ভোক্তা অধিকার সংগঠনের আহ্বান, “অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।”
ভবিষ্যতের আভাস:
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শীত মৌসুমে সবজির দাম স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের জন্য ভর্তুকি ও সরবরাহ চ্যানেল জোরদারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে চিনি ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকের কথাও জানানো হয়েছে।

