মোদী-মাস্কের ফোনালাপ: প্রযুক্তি খাতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আর্ন্তজাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | পাংশসংবাদ.কম

শীর্ষ ধনকুবের ও টেসলা এবং স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র মাস্কের সঙ্গে মোদীর এই ফোনালাপ হয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন খাতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

মোদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ইলন মাস্কের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছি। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

ভারতীয়রা এই ফোনালাপকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন। অনেকের মতে, এর মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে ভারতে মাস্কের কোম্পানির বিনিয়োগের পথ আরও প্রশস্ত হবে।

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে মোদীর সঙ্গে মাস্কের এই ফোনালাপ হলো।

মাস্কের সংস্থা টেসলা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে আলোচনা প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। গাড়ি সংস্থার প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে ভারত সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মোদী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে মোদী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান এবং ট্রাম্পের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিও তাদের আলোচনার অগ্রাধিকার পায়। তবে এরপরই ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসন ৯০ দিনের জন্য শুল্কনীতির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। আর এই সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মোদী মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *